প্রকাশিত হয়েছেঃ শুক্রবার, ২২শে মে ২০২০
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে বরাবরের মতো এবারো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন। বনের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তৎপর রয়েছে সরকার। আজ ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার জবাবে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারও সুপার সাইক্লোন আম্পানে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সহকারী বন সংরক্ষক পদাধিকারী রেঞ্জ অফিসারদের নেতৃত্বে এ কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের কমিটিগুলোকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

বন মন্ত্রী জানান, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবন বন বিভাগের ১০টির অধিক কাঠের জেটি এবং ৩০ টির অধিক স্টাফ ব্যারাকের টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বনবিভাগের ৬০ টির অধিক পুকুরে লবনাক্ত পানি প্রবেশ করেছে। সুন্দরবনের গাছ গাছালির মধ্যে কেওড়া গাছ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্থ অথবা ভেঙ্গে যাওয়া গাছপালা অপসারণ করা হবে না। সুন্দরবন নিজস্ব প্রাকৃতিক ক্ষমতা বলেই এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। শুধু ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামো গুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। পুকুরগুলোর লবনাক্ত পানি অপসারণ করা হবে ব্যবহার উপযোগী করা হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কিছু পুকুর পুনঃখননের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।