প্রকাশিত হয়েছেঃ শুক্রবার, ১১ই মে, ২০২০
দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসছেন আয়ারল্যান্ড ও ডাবলিন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। ডাবলিন আওয়ামী লীগের এই কর্মী নিভৃতে থাকতেই পছন্দ করেন। তবে দলীয় কোনো কর্মসূচী থাকলে সেখানে সবসময় উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেন এবং থাকেনও।
গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য বা আলোচনা করে সময় অতিবাহিত করার জন্য তিনি একজন আদর্শ ব্যক্তি। যে কোনো বিষয়ের চুল চেরা বিশ্লেষণ করা চাই এবং সেই সাথে সমাধানও।
কথা প্রসঙ্গে প্রবীর সরকার ত্রাণকে ত্রাণ হিসেবে না বলার কারণ তিনি ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে সারা বছরই এই লোকগুলো সাধারণ মানুষ কে নানাভাবে সেবা দিয়ে থাকে যা দিয়ে তারা নামমাত্র মূল্যে জীবিকা নির্বাহ করে। এরা সবাই কর্মক্ষম ব্যক্তি শুধু করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের বর্তমান অবস্থান কিছুটা নাজুক তাই তাদের জন্য ত্রান নয় এটি আমাদের উপহার সামগ্রী, এটাকে কোনোভাবে ত্রাণ বলা যাবে না।
সত্যিই তো কৃষক অথবা দিনমুজুর অথবা নিন্ম আয়ের মানুষ এই লোকগুলো তো সারা বছরই আমাদের সেবা দিয়ে তাদের জন্য কিছু করতে পারাটা অবশ্যই সৌভাগ্যের ব্যাপার, সেখানে 'ত্রাণ' শব্দ চয়নটি সঠিক হতে পারে না।
প্রবীর সরকার চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলবে নিন্ম আয়ের মানুষের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। প্রতি পরিবারকে দেয়া ওনার উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৫ কিলো চাল, ১ কিলো মসুর ডাল, ১ কিলো আটা, ১ লিটার ভোজ্য তেল ও একটি সাবান।
এই মহৎ কাজে ওনাকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় জীবন গোলদার যিনি নিজে উপস্থিত থেকে সার্বিক উদ্যোগটি সমন্বয় করেন। সহযোগিতায় আরো ছিলেন অমল গোলদার, পলাশ গোলদার, পিন্টু গোলদার, শিমুল গোলদার ও শচীন গোলদার।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের বৃহৎ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন বিদ্যানন্দের ফেইসবুক পেইজে ওনারা মন্তব্য করেছিলেন, মানুষকে সেবা করার সুযোগ সব সময় হয় না কিন্তু যখন সেই সুযোগ আসে তখন সেটার সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা উচিত।
আয়ারল্যান্ড ও ডাবলিন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আমরা সকলকে অনুরোধ করবো এই দুর্যোগ মুহূর্তে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদের এই পোস্টের উদ্দেশ্য দেশে বা বিদেশে অন্যান্য সকলকে সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণ দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা।
খাইরুল হক পায়েল
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
ডাবলিন আওয়ামী লীগ