প্রকাশিত হয়েছেঃ বুধবার, ১৫-ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ডাবলিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পথ চলায় আরো একটি সফলতা অর্জিত হলো গত ১৩-ই ফেব্রুয়ারী। যে কোনো রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের  স্বপ্ন থাকে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের সাথে সাক্ষাৎ, ভাবের আদান প্রদান , ভাষার আদান প্রদান করা। আর সেই নেতৃত্ব যদি হয় বঙ্গবন্ধু কন্যা,আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাহলে তা অতি আবেগ, অতি উচ্ছাস ও অতি রোমাঞ্চিত হওয়ার বিষয়।এমনি মনোভাব প্রকাশ করছিলেন ডাবলিন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার।

ডাবলিন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে গত  ১৩/০২/২০২৩ ইং তারিখে গণভবনে জননেত্রী ও বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সভাপতি ফিরোজ হোসেনের ভাষায় , গণভবনে যেতে যেতে সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে যায়। গণভবনে যাওয়া প্রতিটি কর্মীর খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।এমনকি সাক্ষাতের সময়েও সকলের কুশলাদি জানার পরমুহূর্তেই তিনি সকলকেই জিজ্ঞাসা করছিলেন কর্মীরা কেউই অভুক্ত নয়তো। আপ্যায়নে আপ্লুত ও নেত্রীর সাথে সাক্ষাতে ও কর্মীদের প্রতি এরকম ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ ফিরোজ হোসেন। তিনি জানান, সুযোগ পেলে তিনি আবারো গণভবনে নেত্রীর সাথে দেখা করবেন।

গণভবনে প্রবেশের পর ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটির প্রত্যেক কে গণভবনেই উৎপাদিত (শাক , তরকারী , খাসি , মুরগি, মাছ) নানারকম মুখরোচক খাবার  দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।

সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার বলেন, একটি জাতি এমনি এমনিতেই কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি। সর্বোচ্চ পর্যায় অর্থাৎ গণভবন থেকেই তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার মাঠে প্রান্তরে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দ্বারা গৃহীত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প শুধু খাতা কলমেই সীমাবদ্ধ থাকেনি , জননেত্রী শেখ হাসিনা তা গণভবনের  দ্বারা সম্পাদন করে দেশবাসীকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং এর ফলাফল হচ্ছে বাংলাদেশ আজ কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক কে এম লোকমান হোসেন মঞ্চে উপবিষ্ট নেত্রীর সাথে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটির কার্যকলাপ তুলে ধরেন। ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সাবেক ডেনমার্ক  আওয়ামী লীগের সভাপতি লিংকন মোল্লা নেত্রীর কুশলাদি বিনিময় করার পাশাপাশি দেশ কল্যাণে নেত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। ইউরোপ ও আমেরিকা সহ প্রায় সব দেশের নেতৃবৃন্দকে কাছে পেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন তিনি আজ বিশ্ববাসীকে কাছে পেয়েছেন।


ডাবলিন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিগণও তাদের পরিচয়ের পাশাপাশি ডাবলিন আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড তুলে ধরেন।

পরিচয় পর্ব শেষে আয়ারল্যান্ডের বাঙালী জনগণের একটি স্বপ্ন একটি এম্ব্যাসি স্থাপনের জন্য নেত্রীকে জানানোর পাশাপাশি এর পেপার ওয়ার্ক বিপ্লব বড়ুয়ার হাতে জমা দেন।

ডাবলিন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা ছাড়াও ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটিতে ছিলেন সমন্বয়ক ও সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক হাসনাত মিয়া, সমন্বয়ক ও ইটালি আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি রেহান উদ্দিন দুলাল, সমন্বয়ক ও স্পেন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন, সমন্বয়ক ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সমন্বয়ক ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, সমন্বয়ক ও ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনাম উদ্দিন খালেক, সমন্বয়ক ও ফ্রান্স আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ আলী, সমন্বয়ক ও অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রানা বখতিয়ার, সমন্বয়ক শিবলী হোসেন, নিজাম হোসেন ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।