প্রকাশিত হয়েছেঃ মঙ্গলবার, ১৯ই মে, ২০২০
করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবেলায় সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড এবং করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ের করনীয় সম্বন্ধে আলোচনা করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে।

'Beyond The Pandemic' শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব ইতোমধ্যে গত ১৫ই মে দলটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে যার বিষয়বস্তু ছিল 'করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় জনসচেতনতা'। সাধারণ মানুষ সরাসরি তাদের প্রশ্নগুলো উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের কাছে তুলে ধরেন এবং নিজেদের মতামত সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এই আয়োজনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলি ফরহাদ।

আগামী ১৯ই মে এই আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব আয়োজিত হবে। এই পর্বের বিষয়বস্তু নির্ধারন করা হয়েছে ‘করোনাভাইরাস সংকটে মানবিক সহায়তা’। ফেসবুকে সরাসরি এই আলোচনায় ভিডিও বার্তা দিয়ে অংশ নেবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নিবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দিপু মনি এমপি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি শিপ্রা দাশ।

প্রথম পর্বের আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ। আরো যুক্ত হয়েছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছিলেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম; মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম; স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী, একাত্তর টিভি'র সাংবাদিক ফারজানা রুপা, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন নির্মাতা সংস্থা গ্রে ইন্টারন্যাশনাল এর ঢাকা অফিসের ম্যানেজিং পার্টনার এবং ক্রিয়েটিভ চীফ সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন এবং স্বনামধন্য অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ১০ জন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক।

প্রথম পর্বের আলোচনা তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনে আমরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক ভিডিও নির্মাণ করে প্রচার করি এবং বিভিন্ন ডাক্তারদের নিয়ে করোনা সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করি যা এখনো চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ বেতারেও আমরা সমানতালে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করেছি’।

ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কারনেই লকডাউনের মধ্যে সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকা স্বত্ত্বেও মানুষ ঘরে বসে স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য, আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তিকে যদি বাংলাদেশ কাজে লাগাতে না পারতো তাহলে হয়তো আমাদের আরো অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি দেখতে এই লিংঙ্কে ক্লিক করুনঃ https://www.facebook.com/awamileague.1949